الله الرفيق (خطبة) باللغة البنغالية


খুতবার বিষয়ঃ আল্লাহ মেহেরবান ও দয়ালু

প্রথম খুৎবা

 

الحمد للهِ الأولِ الآخر، الظاهرِ الباطن، والشكر للهِ الوهابِ الغني، المتينِ القوي، وأشهد ألا إله إلا اللهُ الغفورُ الودودُ القريب، الرؤوفُ الرفيقُ المجيب، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله خاتم الأنبياء وأعظم الأتقياء، صلى الله عليه وعلى آله وصحبه وسلم تسليمًا كثيرًا.

হামদ ও সালাতের পর!

আমি আপনাকে এবং নিজেকে তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিচ্ছি, কেননা যে সম্বল গ্রহণ করেছে তাকওয়ার মতো কেউ সম্বল গ্রহণ করেনি।

﴿ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى ﴾ [البقرة: ١٩٧]

অনুবাদঃ (আর তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর । নিশ্চয় সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। )।

আর না কেউ এর চেয়ে সুন্দর সজ্জায় ভূষিত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ

﴿ وَلِبَاسُ التَّقْوَىَ ذَلِكَ خَيْرٌ ﴾ [الأعراف: 26]

অনুবাদঃ (আর তাকওয়ার পোশাক এটাই সর্বোত্তম)।

বুখারী ও মুসলিমে আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার একদল ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললঃ আসসামু আলাইকা। (তোমার মরণ হোক)। আমি এ কথার অর্থ বুঝে বললামঃ আলাইকুমুস্ সামু ওয়াল লানাতু। (তোমাদের উপর মৃত্যু ও লা‘নাত)। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ! তুমি থামো। আল্লাহ সর্ব হালতে নম্রতা পছন্দ করেন। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! তারা যা বললোঃ তা কি আপনি শুনেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ জন্যই আমিও বলেছি, ওয়া আলাইকুম)।

আল্লাহু আকবার! কত শিক্ষা নিহিত রয়েছে এই ঘটনায়। এই ঘটনা থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল যে, মানুষের সাথে সদয় ও নম্র আচরণ করা ইসলামী নৈতিকতার একটি বিশিষ্ট গুণ এবং এটি শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও, এই হাদিস থেকে সবচেয়ে বড় একটি লাভ পাওয়া যায়: এটি হল এতে আল্লাহর সুন্দর নামগুলোর একটি নাম পাওয়া যায় আর তাহল “আর রাফীক” নাম প্রমাণ করা হয়েছে যার অর্থ নম্র ও দয়াময়।

শাইখ সাদী (রহঃ) বলেছেন: “আল্লাহর একটি নাম হল “আর-রাফিক”, তিনি তাঁর কর্ম ও শরীয়তে “আর-রাফিক” (দয়াময়)।”

তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি সৃষ্টি এবং আল্লাহর বিধান ও আদেশ সম্পর্কে চিন্তা করে যে আল্লাহ তায়ালা এগুলোর মধ্যে শৃঙ্খলা ও ধারাবাহিকতা কিভাবে অবলম্বন পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাহলে সে বিস্ময়ে পড়ে যাবে।” হ্যাঁ…এটা আল্লাহর রহমত যে, তিনি তাঁর প্রজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ধাপে ধাপে জীব সৃষ্টি করেছেন। তিনি জীবকে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি করেছেন, অথচ তিনি মুহূর্তের মধ্যে সবাইকে সৃষ্টি করতে সক্ষম! এটি আল্লাহর ধৈর্য, ​​প্রজ্ঞা, জ্ঞান, ও দয়ার প্রমাণ।

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু : তাঁর আদেশ ও নিষেধের ক্ষেত্রে তাদের প্রতি নম্র ও দয়ালু। তাই দীর্ঘ তেইশ বছরের সময়ের মধ্যে ইসলামী আইন প্রকাশ করেছিলেন! শরিয়তের ব্যাপারে আল্লাহর অনুগ্রহ হলো: তিনি কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের বাইরে বাধ্য করেন না। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সদয়: তাই তিনি তাদের জন্য ছুট নির্ধারণ করেছেন যা তাদের থেকে কষ্ট দূর করে। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি পাপীকেও অবকাশ দেন, এমনকি পাপের মধ্যে নিমজ্জিত থাকা ব্যক্তিকেও অবকাশ দেন এবং তাকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেন না, যাতে সে তার রবের দিকে ফিরে যায়, তার পাপের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং হিদায়াত ও সত্যের দিকে ফিরে যায়।

﴿ وَرَبُّكَ الْغَفُورُ ذُو الرَّحْمَةِ لَوْ يُؤَاخِذُهُم بِمَا كَسَبُوا لَعَجَّلَ لَهُمُ الْعَذَابَ ﴾ [الكهف: 58]

অর্থঃ (আর আপনার রব পরম ক্ষমাশীল, দয়াবান । তাদের কৃতকর্মের জন্য যদি তিনি তাদেরকে পাকড়াও করতেন, তবে তিনি অবশ্যই তাদের শাস্তি তরান্বিত করতেন)।

টা আল্লাহর রহমত যে তিনি তাঁর বান্দাদেরকে নম্র ও সদয় হতে আদেশ করেছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন। দয়াময় আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যেমনটি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: (নম্রতা যে কোন বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর যে কোন বিষয় থেকে নম্রতা বিদূরিত হলে তাকে কলুষিত করে)।

তিনি নম্রতার এই হাদীসটি আয়েশা (রাঃ)-এর ঘটনাতে বলেছেন যখন তার একটি জেদী উটের সাথে ঘটনা ঘটেছিল। এটি একটি প্রমাণ যে পশুদের সাথেও নম্রতা করা মুস্তাহাব। দ্বিতীয়বার তিনি এই হাদীসটি বলেছিলেন যখন ইহুদীদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। অন্য হাদিসে উল্লেখ আছে যে, (যে ব্যক্তি নম্র আচরণ থেকে বঞ্চিত সে প্রকৃত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত)। মুসলিম

তৃতীয় হাদীসে রয়েছে, (আল্লাহ্ কোমল। তিনি সকল কাজে কোমলতা পছন্দ করেন)। আহমাদ, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন।

চতুর্থ হাদীসে এসেছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (হে আল্লাহ! যে আমার উম্মাতের কোনরূপ কর্তৃত্বভার লাভ করে এবং তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করে তুমি তার প্রতি রূঢ় হও, আর যে আমার উম্মাতের উপর কোনরূপ কর্তৃত্ব লাভ করে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে তুমি তার প্রতি নম্র ও সদয় হও)। (মুসলিম) এছাড়াও আরো বহু হাদীস রয়েছে।

 

দ্বিতীয় খুৎবা

الحمد لله وحده والصلاة والسلام على نبيه وعبده وعلى آله وصحبه.

সালাত ও সালামের পর!

হে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা! আল্লাহর প্রিয় নাম “আর-রফিক”- (দয়ালু) এর প্রতি বিশ্বাস একজন মুসলমানের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে, তার মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ: আল্লাহর প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও মহিমার অনুভূতি জাগে, অধিকন্তু, তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর সন্তুষ্টি ও দয়ার প্রভাব তাঁর সৃষ্টি ও শরীয়তে স্পষ্ট, যদিও তিনি সর্বশক্তিমান সৃষ্টি থেকে অমুখাপেক্ষী।

আল্লাহর প্রিয় নাম “আর-রাফিক”-এর একটি প্রভাব হল: নম্রতা ও দয়া দিয়ে নিজেকে সাজানো এবং নিজের আত্মার সাথে কোমল হওয়া, তারপর ধীরে ধীরে ইবাদতের ক্ষেত্রেও তা গ্রহণ করা, হাদীসে আছে যে: “এই দ্বীন শক্তিশালী, এতে কোমলতার সাথে প্রবেশ কর” (এই হাদীসটিকে আল আলবানী হাসান বলেছেন)।

অন্য হাদীসে এসেছে (এই দীন সহজ, যে কেউ দীনের ক্ষেত্রে কঠিন পন্থা অবলম্বন করবে, সে দীন পালনে ব্যর্থ হয়ে যাবে। অতএব তোমরা সোজা পথে চল, পরিপূর্ণতার কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা কর, সুসংবাদ দাও, সহজ পন্থা অবলম্বন কর)। বুখারী

আল্লাহর মহামূল্যবান নাম “আর-রফিক”-এর প্রতি ঈমান আনার একটি প্রভাব হল: সকল মানুষের সাথে কথা ও কাজে নম্র আচরণ করা, সে মুমিন হোক বা কাফের। ইহুদীদের সাথে নবীর ঘটনা আগেই বলা হয়েছে! যেখানে আপনি বলেছেনঃ (নম্রতা যে কোন বিষয়কে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। আর যে কোন বিষয় থেকে নম্রতা বিদূরিত হলে তাকে কলুষিত করে)। (মুসলিম)

নম্রতা ও দয়ার সবচেয়ে যোগ্য হল পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজন। হাদীসে এসেছে,

“আল্লাহ যখন কোন পরিবারের মঙ্গল করতে চান, তখন তিনি তাদের মধ্যে নম্রতা দান করেন।” (আহমাদ, আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)।

আল্লাহর প্রিয় নাম “আথ-রফিক”-এর প্রতি ঈমান আনার অন্যতম প্রভাব হল: পশুদের সাথে কোমল ব্যবহার করা, তাদের উপর জুলুম করা থেকে বিরত থাকা! এই মহিলার ঘটনা আপনার কাছে গোপন নয়, যাকে জাহান্নামী ঘোষণা করা হয়েছিল একটি বিড়ালকে বন্দী করে রাখার কারণে। এমনকি জবাই ও হত্যার সময়ও নম্রতা ও দয়ার সাথে জবাই করা ফরয বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হাদীসে এসেছেঃ (আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের উপর ইহসান অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা যখন হত্যা করবে, দয়ার্দ্রতার সঙ্গে হত্যা করবে; আর যখন যাবাহ করবে তখন দয়ার সঙ্গে যাবাহ করবে। তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং তার যাবাহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে)। মুসলিম

আল্লাহর মহামূল্যবান নাম “আর-রফিক”-এর প্রতি ঈমানের একটি প্রভাব হল: আল্লাহকে তাঁর শরীয়ত এবং তাঁর বান্দাদের প্রতি তাঁর দয়ার জন্য তাঁর শুকরিয়া আদায় করা এবং তাঁর মহিমা ঘোষণা করা।

শেষ কথা: আমাদের রব কোমল এবং দয়ালু, আমাদের ধর্ম কোমল এবং সরলতার উপর ভিত্তি করে। আমাদের নবী করুণাময়দের প্রধান ও আদর্শ, সুতরাং আমাদের উপর ওয়াজিব যে, আমরাও আমাদের ব্যাপারে নম্র হই, আমাদের নফসকে এই গুণে অভ্যস্ত করার জন্য তাঁর সাথে সচেষ্ট হই, তাওফিক দানকারী একমাত্র আল্লাহ, তাঁর কোন শরীক বা অংশীদার নেই।

দরুদ ও সালাম পাঠ করুন

 





Source link

أترك تعليقا

مشاركة
ثورة الإمام الحسين (ع) وأبعادها
سليلة الإباء، زينب بنت علي (ع)